প্রতীক্ষার অবসান। আজ দুপুরেই রাজ্যে আসছে পুণের সেরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি করোনার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড। দুপুরের বিমানে কলকাতায় পৌঁছে যাবে এই ভ্যাকসিন। বিমানবন্দর থেকেই ভ্যাকসিনের একাংশ ইনসুলেটেড ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হবে বাগবাজারের কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোর্সে। সেখান থেকেই রাজ্যের কোনায়-কোনায় সেই ভ্যাকসিন মোট ৯৪১টি কোল্ড চেন পয়েন্টে পৌঁছে যাবে।
দেশজুড়ে করোনার চোখ রাঙানি এখনও জারি। এই আবহেই জরুরি ভিত্তিতে করোনার দুটি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। অক্সফোর্ড-অস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটক ও আইসিএমআর-এর তৈরি কোভ্যাক্সিন ছাড়পত্র পেয়েছে।
ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের ড্রাই রা হয়েছে। এবার আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে করোনার গণ টিকাকরণ শুরু হতে চলেছে। তার আগে মঙ্গলবার দুপুরেই রাজ্যে পৌঁছে যাচ্ছে করোনার ভ্যাকসিন। জানা গিয়েছে, পুণের সেরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি করোনার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড দুপুরের বিমানেই কলকাতায় পৌঁছে যাবে। বিমানবন্দর থেকেই ভ্যাকসিনের একাংশ ইনসুলেটেড ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হবে বাগবাজারের কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোর্সে। সেখান থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন শহর ও জেলাগুলিতে ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হবে।
এরই পাশাপাশি ভ্যাকসিনের অপর একটি অংশ বিমানবন্দর থেকে এদিন দুপুরেই সোজা চলে যাবে হেস্টিংসে কেন্দ্রীয় সরকারের গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল স্টোর্স ডিপোয়। কেন্দ্রের এই প্রতিষ্ঠান থেকে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে যাবে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে। অসম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে কলকাতা থেকেই করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হবে।
এদিকে, প্রথম ধাপে পশ্চিমবঙ্গে মোট কত ভ্যাকসিন এসে পৌঁছোচ্ছে তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। জানা গিয়েছে, দমদম বিমানবন্দরে এদিন ভ্যাকসিন পৌঁছোলে গাড়িতে তা নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়ার পথে যাতে কোনও যানজট সৃষ্টি না হওয়ায় সেব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রেখে চলছে স্বাস্থ্য দফতর। বিমানবন্দর থেকে পুলিশের পাইলট কার ভ্যাকসিন নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেবে বলে জানা গিয়েছে।