তাপমাত্রা মাইনাস ৫০ ডিগ্রির নীচে, তার মধ্যেই চলল স্কুলের পঠনপাঠন। পৃথিবীর অন্যতম শীতলতম স্থান হল সাইবেরিয়া। এখানেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে শীতলতম এই স্কুল। ১৯৩২ সালে জোসেফ স্তালিনের সময়ে তৈরি হয় এই স্কুল।
একটি ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে যে, সাইবেরিয়ার ওইমায়াকন শহরের ইয়াকুতিয়ায় রয়েছে এই স্কুলটি। এখানে প্রচণ্ড হাড়কাঁপানো শীতের মধ্যেও ছোট্ট খুদেরা দিব্যি পড়াশোনা করে চলেছে। তবে তাপমাত্রা মাইনাস ৫২ ডিগ্রির নীচে নেমে গেলে ৭-১০ বছর বয়সী পড়ুয়াদের জন্য বন্ধ থাকে ক্লাস। আবার তাপমাত্রা মাইনাস ৫২ ডিগ্রির বেশি থাকলেও যদি তুষারপাত হয় বা জোরে হাওয়া বয়, সেদিনও বন্ধ রাখা হয় পঠনপাঠন।
জানা গিয়েছে, এটি শুধুমাত্র স্কুল নয়। ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসের মতো সুবিধাও মেলে এই জায়গায়। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় হাতে গ্লাভস না পরলে আঙুলের ক্ষতি হয়। এই অঞ্চলেও একই সমস্যা।
তাছাড়া, এত কম তাপমাত্রায় থাকে হাইপোথার্মিয়ার ঝুঁকি। মানে দ্রুত শরীরের তাপমাত্রা নামতে থাকে যার জেরে দেখা দেয় সমস্যা। মৃত্যুরও আশঙ্কা থাকে। তবে এই প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করেই প্রতিদিন স্কুল করতে হয় পড়ুয়াদের। করোনার অতিমারিতেও চলেছে স্কুল। নিয়মিত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, চলতি মাসের ৮ তারিখে সকাল ৯টা নাগাদ ওই অঞ্চলের তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেদিনও বন্ধ যায়নি এই স্কুলের পঠনপাঠন।