
হাইলাইটস
- বিহারে মোট আসন ২৪৩
- এনডিএ পেল ১২৫
- মহাজোট ১১০
- অন্যরা ৮
দু-দশকের মধ্যে এই প্রথম বিহারে বিজেপির থেকে কম আসন পেল নীতীশর জেডি(ইউ)। গতবারের ৭১ আসন থেকে জেডি(ইউ)-এর আসন নেমে এসেছে ৪৩-এ। সেখানে বিজেপি ৫৩ থেকে বেড়ে ৭৪ হয়েছে। নীতীশের দলের ২৮টি আসন কমার পাশাপাশি বিজেপির আসন বেড়েছে ২১টি।
মহাজোটে আরজেডিই সর্বাধিক ৭৫টি আসন পেয়েছে। গতবারের তুলনায় ৫টি আসন কমেছে। কংগ্রেসের খারাপ ফলের জন্য জোর ধাক্কা খেয়েছে মহাজোট। ৭০টি আসনে লড়াই করে মাত্র ১৯টিতে জিতেছে কংগ্রেস। গতবার তারা পেয়েছিল ২৭ আসন। জোট শিবিরের জন্য এটা বড় ধাক্কা। সেখানে বিহারে বামেদের ফল খুবই ভালো। ২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়ে তার মধ্যে ১৬টিতেই তারা জিতেছে।
চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি এ বার স্বাধীন ভাবে লড়াই করে একটি আসন খুইয়েছে। ২ থেকে ১-এ নেমে এসেছে এলজেপি। অন্যদের আসন ১০ থেকে বেড়ে ৩১ হয়েছে।
লোক জনশক্তি পার্টি (LJP)-র সভাপতি চিরাগ পাসোয়ান বলেন, ‘বিহারে ভোটের ফল আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জয়। বিহারের মানুষ দেখিয়েছেন তাঁরা মোদীর উপর আস্থা রাখেন।’ নীতীশ কুমারকে এই জয়ের কৃতিত্ব দিতে তিনি অস্বীকার করেন।
নির্বাচনে তাঁর দল মাত্র একটি আসন পেয়েছে। এনডিএ’র শরিক জেডি(ইউ)-এর বিরুদ্ধে লড়াই করে তাঁরা জিততে পারেননি। উলটে গতবারের ২টো আসন থেকে এ বার একটি আসনে নেমে এসেছে। এই পরাজয় প্রসঙ্গে চিরাগ বলেন, ‘আমি এটা ভেবেই গর্বিত যে, আমার দল ক্ষমতার কাছে মাথা নত করেনি।’
চিরাগের কথায়, ‘কোনওরকম জোট ছাড়াই এলজেপি প্রার্থীরা নিজেরাই গৌরবজনক ভাবে লড়াই করেছেন। দলের ভোট শেয়ার বেড়েছে। সেইসঙ্গে বিহারের প্রতিটি জেলায় দলের শক্তিও বেড়েছে।’ চিরাগ জানান, ১৪০টি আসনে প্রতিদ্বিন্দ্বিতা করে তাঁদের ভোট শেয়ার ৫.৬৮ শতাংশ।