
প্রায় ছ’মাস বন্ধ থাকার পর ফের খুলছে রাজ্যের সমস্ত চিড়িয়াখানা এবং অভয়ারণ্য। শুক্রবার নবান্নের তরফে এই ঘোষণা করেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের সমস্ত অভয়ারণ্য। অন্য দিকে অক্টোবর মাসের ২ তারিখ থেকে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের সমস্ত চিড়িয়াখানা। সমস্ত বুকিং হবে অনলাইনে। সমস্ত ক্ষেত্রেই অবশ্যই কোভিডবিধি মানতে হবে পর্যটকদের।
চতুর্থ পর্যায়ের আনলক-এ ধীরে ধীরে পর্যটন শিল্পকে স্বাভাবিকত্বে ফেরানোর উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সম্প্রতি রাজ্যের হোটেল এবং লজগুলি খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই দিঘা এবং শান্তিনিকেতনের মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে হোটেল খুলে গিয়েছে। একই ভাবে উত্তরবঙ্গেও পর্যটন শিল্পের পথচলা ফের শুরু হতে চলেছে রাজ্যের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে।
এমনিতে বর্ষা শেষ হলেই উত্তরবঙ্গের জঙ্গলগুলিতে সাফারি শুরু হয়ে যায়। তার পরেই থাকে দুর্গাপুজোর ছুটিতে জঙ্গলভ্রমণের পালা। এ বার করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে স্থিমিত হয়েছে আয়োজন। তবে পুজোর মুখে পর্যটনে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এই সময় জঙ্গল খুলে গেলে মার খাওয়া ব্যবসা কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
চিড়িয়াখানা অথব্য পার্কগুলিতে প্রবেশের সময় বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে রাজ্য। ঢোকার সময় প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিং, স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
এ ছাড়া চিড়িয়াখানায় যেমন প্রতিদিন সর্বোচ্চ দর্শক সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হবে, তেমনই জঙ্গলে সাফারির ক্ষেত্রেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। চিড়িয়াখানা খোলার আগে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি মেনে, বোটিং কিংবা পার্কে কোনো প্রমোদমূলক সামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্যানিটাইজার সবসময় ব্যবহার করতে হবে। করোনা আবহে স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি সঠিক ভাবে মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা উপর নজরদারি চালাতে হবে কর্তৃপক্ষকে।