বারণ করা সত্ত্বেও হোয়াটসঅ্যাপে
(WhatsApp) বারবার অশ্লীল মেসেজ। প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে জাতীয় মহিলা কমিশনে নালিশ মহিলার।
মহিলা কমিশনের সুপারিশেই লেকটাউন থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। করোনা
(CoronaVirus) কালেও হেনস্তার হাত থেকে রেহাই পেলেন না মহিলা। পরিচিত মানুষের কাছেই
নিগ্রহের শিকার হতে হল। বারবার অশালীন মেসেজ পেতে হল। পরিস্থিতি সহ্যের বাইরে চলে গেলে
জাতীয় মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হন তিনি। তাতেই মেলে ফল। মহিলা কমিশনের সুপারিশে পুলিশের
জালে ধরা পড়ে অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রাজারাম শর্মা। ৫৬ বছর বয়সের ওই প্রৌঢ় লেকটাউনের শ্রীভূমির
বাসিন্দা। ব্যবসায়িক সূত্রে ওই ব্যক্তির সঙ্গে মহিলার পরিচয় হয়েছিল। সেই সম্পর্কেই
দু’জনের মধ্যে ফোনে কথা হত। আর সেই সুবিধা নিয়েই ওই ব্যক্তি মহিলাকে হোয়াটসঅ্যাপে
অশ্লীল ভিডিও পাঠাতে শুরু করে। প্রথমে প্রৌঢ়ের অশালীন আচরণে হতবাক হয়ে যান মহিলা।
তাকে এই ধরনের মেসেজ পাঠাতে বারণ করেন। জানান এমন মেসেজে তিনি অপ্রস্তুতও বোধ করছেন।
কিন্তু তাতে কোনও হেলদোল হয়নি ওই ব্যক্তির। বারবার অশালীন মেসেজ মহিলাকে পাঠাতে থাকেন।
তখন মহিলার সহ্যের বাঁধ ভেঙে যায়। গোটা বিষয়টি তিনি জাতীয় মহিলা কমিশনকে জানান।
মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয়
মহিলা কমিশন কলকাতা পুলিশ কর্তৃপক্ষকে মামলা করার সুপারিশ করে। লালবাজারের সাইবার থানায়
এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে অভিযুক্তকে শনাক্ত করে। বুধবার লেকটাউনের
এস কে দেব রোডের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোন মানসিক স্থিতিতে প্রৌঢ় এই
ধরনের কাজ করেছে, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।