প্রথম জীবনে অভিনয়, তারপর রাজনীতির আঙিনায় পা রেখে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলা। দেখতে
দেখতে জনপ্রতিনিধি হয়ে দেশের সংসদ ভবনে পদার্পণ। এবার নিজের সাংগীতিক প্রতিভার পরিচয়
রাখলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) । স্বাধীনতা দিবসের
আগে স্বকণ্ঠে রেকর্ড করলেন জাতীয় সংগীত। তাঁর সুরেলা, আবেগমাখা কণ্ঠে ‘জনগণমন’ ইতিমধ্যেই
নজর কেড়েছে শ্রোতাদের। হুগলির সাংসদকে তাঁরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
একসঙ্গে অনেকগুলো সাফল্য। অল্প
দিনেই জনসমর্থন নিজের দিকে টেনে উনিশের লোকসভা ভোটে সাংসদ নির্বাচিত হওয়া, মহিলা মোর্চার
সভানেত্রী, বঙ্গ বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্তি – রাজনৈতিক কেরিয়ারে
পরপর কয়েকটি সাফল্য যেন আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। সম্প্রতি
তিনি করোনা যুদ্ধেও জয়ী হয়ে ফিরেছেন। আর তারপর যেন আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। দল ও জনগণের
বিপুল দায়িত্ব সামলে এবার রেকর্ড করে ফেললেন গান। তাও আবার জাতীয় সংগীত (National
Anthem)। ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবসের আগে এভাবেই তিনি দেশপ্রেমের প্রকাশ ঘটালেন নিজের সংগীত
প্রতিভাকে সামনে এনে। জানা গিয়েছে, আপাতত তিনি দিল্লিতে। সেখান থেকেই রেকর্ড করেছেন
‘জনগণমন’।
রাজ্যের শাসকশিবিরে এ ধরনের সাংস্কৃতিক প্রতিভাবান মানুষ আছেন অনেকেই। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই হাজারও কবিতা, গানের রচয়িতা। এছাড়া মন্ত্রীদের মধ্যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) প্রশাসনিক কাজ সামলানোর পরও আবৃত্তি, গানের চর্চা করে থাকেন। স্বাধীনতা দিবসের আগে তিনিও শহিদ সম্মানে গেয়েছেন অতি জনপ্রিয় দেশপ্রেমের গান – ‘অ্যায় ওয়াতন’। এছাড়া পুলওয়ামা হামলার পর তাঁর গাওয়া গান এবং কারগিল দিবসে কবিতাপাঠ অনেকের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। এবার লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গাওয়া জাতীয় সংগীতও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠল। আর এটাই প্রমাণ করে, রাজনীতি নির্বিশেষে সকলেই স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ থেকে দেশপ্রেমের প্রকাশ করেন।