একেই করোনা সংকটে বিপর্যস্ত
সারা বিশ্ববাসী, এরমধ্যেই পরিবেশবিদদের আরো এক নতুন সংকটের হদিশ দিল। যেন ২০২০ সাল
এক অভিশপ্ত বছর, বিশ্ববাসী অপেক্ষায় আছে কবে এই বছর চলে যাবে, সবাই একটু স্বস্তি নিঃশ্বাস
ফেলবে।পৃথিবীর অনেক অংশই বরফ গলার খোজ পাওয়া গিয়েছে, তবে এরমধ্যে উওরাঞ্চলা হিমবাহ
গলনের ঘটনা লক্ষ্যনীয়। কারন হিসাবে জানা গিয়েছে, লকডাউনের জন্য অনেক মানুষ বাইরে
বেরিয়ে কাজ করতে পারছেননা, অনেক মানুষ কাজও হারিয়েছে এর দরুন।
এছাড়াও গাড়ি ঘোরারও আনাগোনা
নেই শহরের রাস্তাগুলিতে, এরফলে পরিবেশ দূষণ কমেছে অনেকটাই কিন্ত তাপমাত্রা কমান্তিত
হয়েছে। ইতিমধ্যেই কানাডার বৃহত্তম হিমবাহ নুনাভাটের এলিমসেমি দ্বীপের মিলেন আইস গলতে
শুরু করে দিয়েছে। যার দরুন পরিবেশবিদরা দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ
বিষয় হল, প্রায় ৮০ কিলোমিটার বিস্তৃত হিমবাহটি দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে পড়েছে,৩০ ও
৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ৪৩ শতাংশ কমে গিয়েছে।
সাধারণ তাপমাত্রা, হিমবাহের
সামনে থাকা জল, তাপমাত্রার দরুন হিমবাহের গলনের কারন হিসাবে বলেছেন কানাডার আইস সার্ভিস।
এছাড়াও সতর্কতা জারি করা হয়েছে, এইভাবে গলন চলতে থাকলে ভিলেন হিমবাহটি সমস্ত অংশ
বিগলিত হয়ে সমুদ্রের সাথে মিশে যাবে। স্যাটেলাইট কোপানিকাসের সেন্টিনেলের সাহায্যে
বিজ্ঞানীরা হিমবাহ গলনের শব্দ শুনতে ও দেখতে পারছেন। কালর্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ডেরেক মুয়েলার ও তার দল হিমবাহটি পর্যবেক্ষণ করেছেন।
তবে করোনার দাপটের ফলে তাদের
পযবেক্ষন আপাতত স্থগিত রয়েছে। মুলেয়ার তার ব্লগে লিখছেন, আমরা খুবই সোভাগ্যবান ধস
নামার সময় আমার এই হিমবাহের উপর ছিলামনা, এককথায় বলা যেতে পারে আমরা এইযাত্রায় বেঁচে
গিয়েছি, তবে আমাদের অনেক যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।