খুব শীঘ্রই বিজেপির আরও দুটি
বিধায়কের উইকেট পড়তে চলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার তার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের
সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য। শুক্রবার বিজেপির একটি উইকেট ফেলেছে তৃণমূল। মুকুল
রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য এদিন রজনীগন্ধার মালা,
মুখে মাস্ক দিয়ে ঘাসফুলের ঝাণ্ডা হাতে তুলে নিলেন।
এরপরই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায়
একটি পোস্ট করেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। যা নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক
মহলে। সেই পোস্টে তিনি পরিষ্কার ভাষায় বিজেপি ভাঙনের বার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন-
“১বিধায়ক বলেছিলাম। হয়ে গেছে। নতুন আপডেট পাইপলাইনে আরও ২। আর ওই ৪ এখনও ৪-ই আছে। আর
সঙ্গে একটা নতুন বটগাছও।” কদিন আগেও দেবাংশু ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। সেখানে তিনি
শুধু লিখেছিলেন, বিজেপির চার সাংসদ, এক বিধায়ক ও ১৬ কাউন্সিলর…।
তৃণমূল চাইছে বিজেপিকে জবরদস্ত
ধাক্কা দিয়ে ২০২১-এর লড়াইটা শুরু করতে। প্রতিদিন বিরোধী শিবির থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে তৃণমূল
যোগ দিচ্ছেন। এই মধ্যে বিজেপির হেভিওয়েটরা রয়েছেন। তার ফাঁকে দেবাংশুর পোস্ট বিজেপি
শিবিরকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে কংগ্রেসের
টিকিটে বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হন তুষারকান্তি ভট্টাচার্য। কিন্তু বিধায়ক
হওয়ার পরেই ২০১৬ সালের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি।
এরপর ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের
ফলাফল ঘোষণার পর আবার তুষারকান্তি ভট্টাচার্য দিল্লিতে মুকুল রায়ের হাত ধরে গেরুয়া
শিবিরে নাম লেখান। এদিন তুষারকান্তির সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁর বেশ কয়েকজন অনুগামী।
বলে রাখি, মুকুল রায়ের হাত
ধরে যাঁরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তাঁদের অনেককেই তৃণমূল ফিরিয়ে আনতে পেরেছে।
বিজেপির জন্য সে সব অস্বস্তির ঘটনা বটে। যদিও বিজেপির এক রাজ্য নেতা এদিন বলেন, “তুষারবাবু
তৃণমূলে না গেলে ভুলেই গেছিলাম যে উনি বিজেপিতে রয়েছেন। দলের কোনও কর্মসূচিতেই তো ওঁকে
বিশেষ দেখা যায়নি”। সেইসঙ্গে দলের আরও দুই বিধায়কের তৃণমূলে যাওয়ার জল্পনাও উড়িয়ে দিয়েছেন
তিনি।