
এবার ভারতের পথে হাটতে চলেছে আমেরিকা, আমেরিকাও এবার আত্মনির্ভর হতে চলেছে। আর এটা যে চিনকে শিক্ষা দিতে, সেটা কিন্তু স্পষ্ট। বাই আমেরিকান প্রশাসনিক নির্দেশে সই করেছে ট্রাম্প। আর সেখানেই উল্লেখ করেছে, এখন থেকে দেশেই উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কূটনৈতিক মহল বিভিন্ন কথাই বলেছেন, তার মধ্যে তারা জানিয়েছে, চিনকে জব্দ করাটাই যে আসল লক্ষ্য সেটা স্পষ্ট বুঝতে পারা যাচ্ছে। কিন্তু এখানে আমেরিকার এই সিদ্ধান্তে সব থেকে ক্ষতির মুখে পরতে হচ্ছে ভারতকে। কারণ ভারতের সবথেকে বড় ওষুধের বাজার কিন্তু আমেরিকাই।
২০১৯-২০ তে ভারত মোট ২০ হাজার
কোটি টাকার ওষুধ বিক্রি করেছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে ভারতের ওষুধ বাজার যে ক্ষতির মুখে
পরতে চলেছে সেটা কিন্তু স্পষ্ট। এই যে দেশে এখন লকডাউন চলছে, সেটার হিসেব করলেও মার্চ
এপ্রিলে ১৬ হাজার কোটি টাকার ওষুধ বিক্রি করেছে ভারত আমেরিকায়। কিন্তু আবার এই সিদ্ধান্তে
ভারতীয় কূটনৈতিক মহল কোনোভাবেই চিন্তিত নয় ,কারণ তারা জানিয়েছে আমেরিকা এ পি আই, অর্থাৎ
ওষুধ তৈরীর কাচামাল আমদানী রুখতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আর সেই সব কাচামাল চিনের থেকে
আসে বলেই এইও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার ফলে কোনোভাবেই ভারতের ওপরে প্রভাব পরবে না বলেই
জানিয়েছে তারা। কিন্তু এখন কোন কোন ধরনের ওষুধের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে সেটা
বলা হয় নি। তবে ট্রাম্পের তরফে বলা হয়েছে, আমেরিকা অন্যান্য দেশের থেকে ওষুধ ও চিকিৎসার
ক্ষেত্রে নির্ভরশীলতা একেবারে শূন্যে নামিয়ে নিয়ে আসবে। এবার আমেরিকায় যদি ওষুধের কাচামাল
তৈরী হয়, তাহলে দেখা যাবে উলটো ভারতেরই অনেকটাই লাভ হবে।