কিছুদিন পরই গণেশ চতুর্থী
(Ganesh Chaturthi), তাঁরই প্রাক্কালে
সিদ্ধিদাতা গণেশের (Ganesh) আরাধনার আয়োজনে
মেতে উঠেছে গোটা দেশ। শহর কলকাতাও (Kolkata)
সাজছে গণেশ পূজার আনন্দে। তবে ভগবান গণেশের জন্ম থেকে শুরু করে তাঁর মুণ্ডচ্ছেদ, সর্বোপরি
তাঁর পূজা নিয়েও রয়েছে নানান অজানান ইতিহাস।
গণেশ দেবতা মহাদেব শিব এবং
মাতা পার্বতীর সন্তান হলেও, তাঁর জন্ম নিয়ে কিন্তু বেশ একটা সুন্দর গল্প রয়েছে। এক
সময় মহাদেব শিব কৈলাশে উপস্থিত ছিলেন না। মহাদেবের অনুপস্থিতিতে মাতা পার্বতী একটি
বালকের মূর্তি নির্মান করে তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন। নিজ সন্তান স্নেহে ভালোবাসা
দিয়ে পরম শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমান হওয়ারও আশির্বাদ করেন মাতা পার্বতী।
পুরাণ মতে ,মহাদেব শিব যখন
তাঁর কার্য সম্পন্ন করে, পুনরায় কৈলাশে ফিরে আসেন, তখন সেখানে দ্বার রক্ষার্থী হিসাবে
একটি ছোট্ট বালককে দেখতে পান। ছোট্ট গণেশ মহাদেবকে না চিনতে পেরে মাতা পার্বতীর নির্দেশ
মেনে অন্যান্যদের ন্যায় মহাদেবকেও গুহার ভেতরে ঢুকতে বাঁধা দেন। কিন্তু মহাদেবকে গুহার
ভেতরে ঢুকতে নিষেধ করায় মহাদেব ছোট্ট গণেশের কাজে অপমানিত এবং রুষ্ট হন।
এরপর মহাদেব শিবের সাথে বালক
গণেশের তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এই যুদ্ধে মহাদেবকে সাহায্য করতে এসে সকল দেবতাগণ একে
একে গণেশের কাছে পরাজিত হন। অবশেষে মহাদেব ক্রোধের বশবর্তী হয়ে মহাদেব শিব নিজের অজান্তেই
নিজ পুত্রের মুণ্ডচ্ছেদ করেন।
সংবাদ পেয়ে তৎক্ষণাৎ সেই ক্ষেত্রে
পৌঁছান মাতা পার্বতী। ছেলের বিষয়ে সমস্ত কথা মহাদেবকে জানিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
মৃত গণেশকে পুনরায় তাঁর কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি করেন মাতা পার্বতী। অবশেষে পার্বতীর
মন রাখতে সবদিক বিচার করে ছোট্ট গণেশের মাথায় একটি হাতির মাথা জুড়ে দিয়ে তাঁর প্রাণ
ফিরিয়ে দেন মহাদেব।
কথিত আছে, এই ভাবেই জন্মের
কিছুসময়ের মধ্যে পিতার সাথে যুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া থেকে শুরু গণেশের মস্তক বদল,
সবকিছু নিয়েই গণেশ দেবতাকে সকল দেবতার পূর্বে পূজা করার আদেশ দেন মহাদেব। তিনি বলেন,
কুমার গণেশ গণাধিপতি হবে ও সকল কাজের পূর্বে গণেশের উপাসনা না করলে ইহলোকের কোন কার্যই
সিদ্ধ হবে না।