
এই মুহূর্তে গোটা বিশ্ব মহামারী
করোনার বিরুদ্ধে লড়তে উঠে পড়ে লেগেছে। তাছাড়া এই মুহূর্তে একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি
ভয়াবহ আর্থিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাই এরকম এক পরিস্থিতিতে আত্মনির্ভর ভারত গড়ে
তোলার লক্ষ্যে ইন্ডিয়া আইডিয়াস সামিটে ফের স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
একদিকে দেশজুড়ে করোনা আবহাওয়া অন্যদিকে লাদাখে চীনের সঙ্গে ভারতের সংঘাত এরই মধ্যে
গতকাল রাত্রি ন’টায় ইন্ডিয়া সামিটে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শুধু প্রধানমন্ত্রীর নয় এর
পাশাপাশি এই দিন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ভারত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিং সান্ধু, মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেন জেস্টার
সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ ছিলেন এতে। প্রসঙ্গত যেমনটা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বর্তমানে
যেদিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাচ্ছে তাতে বিশ্বের রাজনৈতিক অঙ্গনে বারাবার মার্কিন সমর্থন
এসেছে ভারতের কাছে, তাছাড়া লাদাখ সীমান্তে অজ্ঞাত কিন্তু ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল
ট্রাম্প প্রশাসন।
গতকাল আয়োজিত হওয়া এই সামিট-টি
খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ এটির আয়োজক ছিল ভারত এবং মার্কিন বিজনেস কাউন্সিল। এই
সামিট সম্মেলন টিকে ভার্চুয়ালি ভাবে আয়োজিত করতে সহযোগিতা রয়েছে মার্কিন চেম্বার
অব কমার্সের।এদিকে নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানান আত্মনির্ভর ভারত দিয়ে একটি সমৃদ্ধ
করে তোলার অবদান দিচ্ছে ইন্ডিয়া। ভবিষ্যতে এর জন্য আমরা আপনাদের সহযোগিতার আশা করছি।
এর পাশাপাশি তিনি আরো বলেন
অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে মজবুত করে দেশের শিল্প উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে অর্থনীতিকে আরো
চাঙ্গা করা যায় এবং বাণিজ্যিক পদক্ষেপ করা সম্ভব রয়েছে এর দরুন।তাছাড়া এই মুহূর্তে
বিশ্বের নতুন সম্ভাবনার ক্ষেত্র হয়ে উঠছে ভারত,তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমি একটি উদাহরণ
দিচ্ছি এই সমীক্ষায় জানা গেছে শহরের তুলনায় গ্রামে অঞ্চলগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের
সংখ্যা বেশি রয়েছে তুলনামূলকভাবে।আর ভারত আপনাদের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য
আমন্ত্রণ জানাচ্ছে দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে।
#WATCH live: PM Modi delivers keynote address at India Ideas Summit, via video conferencing. https://t.co/0iWLqo0wMM
— ANI (@ANI) July 22, 2020
তাই আপনারা এই সুযোগকে ব্যবহার করুন ভারত এবং আমেরিকার বন্ধুত্ব আগের তুলনায় এখন অনেক দূর এগিয়েছে আর এই সম্পর্ক যাতে ভবিষ্যতে করোনার পরবর্তী সময়ে বিশ্বকে ভালো দিক এনে দিতে পারে তার চেষ্টা করা যাক।অন্যদিকে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মত এই মুহূর্তে করোনা এবং চীনের সংঘাতের মধ্যেই এই সম্মেলন ভারত এবং মার্কিনের সম্পর্কটা আরও মজবুত করবে। শুধু তাই নয় এর ফলে বেইজিংকে অর্থনৈতিক এবং সামরিক দিক থেকেও ঠেকাতে আরও এগিয়ে গিয়েছে নয়াদিল্লি।এই মুহূর্তে ভারত তাদের পুরনো বন্ধু রাশিয়ার উদ্বেগ না বাড়ি আমেরিকা সঙ্গে এখনো সরাসরি কোনো সামরিক চুক্তি করতে চাইছে না। আপাতত এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে পরোক্ষে বন্ধুর বার্তা দিয়েছে দুই দেশ।