দেশে
হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজারের বেশি
মানুষ। এই মুহূর্তে দেশে কারণে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লক্ষের কাছাকাছি। বিশেষজ্ঞের মতে
সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। প্রথম থেকেই N-95 মাস্ক
ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে N-95
মাস্ক ব্যবহার করতে নিষেধ করা হচ্ছে। এই মাস্কের ব্যবহার একদমই নিরাপদ নয় বলে কেন্দ্র
জানিয়েছে। পাশাপাশি, সোমবার দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলিতে চিঠি
পাঠিয়ে N-95 মাস্ক সম্বন্ধে সতর্ক করেছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের
তরফ থেকে চিঠিতে জানানো হয়েছে, N-95 মাস্ক ব্যবহার করা অত্যন্ত বিপদজনক। এই মাস্ক
ব্যবহারে ভাইরাস তো আটকায়ই না উপরন্তু সংক্রমণ আরো বেশি করে ছড়াতে পারে। পাশাপাশি
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, এই ধরণের ভালব লাগানো
মাস্ক’ ব্যবহার না করে বরং স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে হাতে বানানো যে মাস্ক পাওয়া
যাচ্ছে সেগুলি ব্যবহার করা অনেকটাই নিরাপদ। সব ধরনের কাপড় দিয়ে এই মাস্ক বানানো যেতে
পারে। যেকোনো মাস্কই প্রতিদিন ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করা দরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক
সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, বাইরে বেরোতে গেলে মাস্ক ব্যবহারের সময় যেন মুখ এবং নাক
সম্পূর্ণভাবে আবৃত থাকে। কোনভাবেই যেন কোনো ফাঁক থেকে না যায়। এরপর বাড়ি ফিরে এসে
আগে মাস্কটিকে গরম জলে পাঁচ মিনিট রেখে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। তারপর ভালো করে শুকিয়ে
পুনরায় মাস্কটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, N-95 মাস্ক ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্তকরণ করার ক্ষেত্রে অসতর্ক হলে করোনা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। তাই, বাড়িতে বানানো তিন স্তর বিশিষ্ট মাস্ক ব্যবহার করাই বাঞ্ছনীয়। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে বলে দাবি করছেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বেশ কিছু সদস্য। উল্লেখ্য, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছিলেন কেরলের বেশ কিছু জায়গায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে। অবশ্য গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ে কিছু বলতে নারাজ কেন্দ্র।