
গোটা বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর
আকার ধারণ করার পর থেকে একাধিক দেশ চীনের ওপর ক্ষুব্ধ রয়েছে।ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক
দেশেই চীনের সাথে তাদের বাণিজ্যিক চুক্তি বন্ধ করতে শুরু করে দিয়েছে তাছাড়া এমন অনেক
দেশ রয়েছে যারা তাদের সমস্ত ব্যবসা চীন থেকে সরানোর কাজও শুরু করে দিয়েছে। চীন কে
শায়েস্তা করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিশ্বের একাধিক দেশ আর যার মধ্যে সবার প্রথমে রয়েছে
আমেরিকার নাম, যখন থেকে গোটা বিশ্বে করোনা ছড়িয়েছে তখন থেকে আমেরিকার প্রশাসন চীনের
ওপর ক্ষুব্ধ রয়েছে তাছাড়া চীনের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপও গ্রহণ করতে দেখা গেছে এই
বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে।
আর এবারও মার্কিন প্রশাসনের
তরফ থেকে করোনা উত্তেজনার মধ্যে আরও একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গেল এবার ট্রাম্প
সরকারের তরফ থেকে চীনকে হিউস্টন থেকে তাদের মহা বাণিজ্য দূতাবাস 72 ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ
করার আদেশ জারি করা হয়েছে। যদিও আমেরিকার এরকম এক নির্দেশের পর থেকেই দেখতে পাওয়া
যায় সেই দূতাবাসের মধ্যে থেকে ধোঁয়া এবং প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী জানতে পারে যাচ্ছে
চীনের আধিকারিকরা সেখানে তাদের গোপনীয় কাগজপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে।
আর অন্যদিকে আমেরিকা এই পদক্ষেপের
পর চীনও এক প্রকার ক্ষেপে উঠেছে তারা আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় একশন নেবার হুমকি
জারি করেছে। এ বিষয়ে নিউ ইউর্ক টাইমসের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যে হিউস্টন পুলিশ
বাণিজ্য দূতাবাসের কাছে পৌঁছেছে কিন্তু কিছু কূটনৈতিক কারণে অধিকারীরা সেখানে ভিতরে
প্রবেশ করতে পারছে না। এখানকার আশেপাশে থাকা মানুষজন সেই দূতাবাস থেকে ধোঁয়া উঠতে
দেখে পুলিশে খবর দিয়েছিল কিন্তু চীনের অধিকারীকরা পুলিশেদের ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছে না।
আর আপনাদের সুবিধার্থে বলে
রাখি কোল্ড ওয়ারের পরে এটা প্রথম হবে যখন আমেরিকা এরকম ভাবে কোন দূতাবাস বন্ধ করার
জন্য নির্দেশ জারি করেছে।শোনা যাচ্ছে আমেরিকা চীনের সাথে জারি বিবাদের কারণেই এরকম
সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এত কম সময়ের মধ্যে এইভাবে মহা বাণিজ্যিক দূতাবাস খালি করার নির্দেশ
জারি হওয়ার পরেই কিন্তু চিনের অধিকারের মধ্যে এই বিষয় নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়, আমেরিকায়
থাকা দূতাবাসের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আর তারপরই চীনের অধিকারীরা সমস্ত রকম গোপনীয়
কাগজপত্রের জ্বালিয়ে দেয় কর্মচারীদের কাগজপত্র জ্বালানোর অনেক ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল
হতেও দেখা গিয়েছে।
অপরদিকে আমেরিকার এরকম এক পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চীনের বিদেশ মন্ত্রক। তাদের দাবি আমেরিকা যদি তাদের এই ভুল নির্দেশকে ফেরত না নেয় তাহলে একটি বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিন্তু তাদের সরকারের তরফ থেকে। যদিও সেখানে ধোঁয়া উঠার পরেই হাজির হয় হিউস্টন ফায়ার ডিপার্টমেন্ট এর গাড়ি তবে চীনা দূতাবাসের ভেতরে তাদের ও যেতে দেওয়া হয়নি। যাই হোক এক্ষেত্রে এই কথা বলা বাহুল্য যে এরকম এক ঘটনা ঘটার ফলে বর্তমানে চীন এবং আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কে আরো অনেকখানি ফাটল ধরেছে।