
পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ভারত
এবং চীনের মধ্যে উত্তেজনা এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। আর গত সোমবার দিন রাত্রে লাদাখের
গালওয়ান উপত্যকায় হওয়া হিংসাত্মক সংঘর্ষে বিহারের 16 রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল
সন্তোষ বাবু (Santosh Babu) শহীদ হন। তারই সাথে এই খুনি সংঘর্ষে ভারতের কমপক্ষে 20
জন জওয়ান শহীদ হয়েছেন বলে খবর। কমান্ডিং অফিসার কর্নেল সন্তোষ বাবু গত দেড় বছর ধরে
চীন সীমান্তে কর্মরত অবস্থায় ছিলেন, গতকাল মঙ্গলবার দিন সেনার তরফ থেকে ওনার মা মঞ্জুলা
দেবীকে এই খবর দেওয়া হয়।
ছেলে শহীদ হয়েছে সে খবর পাওয়ার
পর মা মঞ্জুলা দেবী দুঃখী, তার সাথে সাথে ছেলের প্রতি গর্বও। এই দিন মঞ্জুলা দেবী নিজের
চোখের জল মুছতে মুছতে জানান আমি ছেলের প্রতি গর্ববোধ করি আমার ছেলে দেশের জন্য কাজ
করতে গিয়ে শহীদ হয়েছে। আর এক মায়ের কাছে এর চেয়ে গর্বের বিষয় কিছু হতে পারে না।
তবে একজন মা হিসাবেও আমার দুঃখ আছে। কর্নেল সন্তোষের পরিবার দিল্লীতে থাকে। ওনার পরিবারে
স্ত্রী আর দুই বাচ্চা ও আছে।
প্রসঙ্গত গত মে মাসের শুরু
থেকে চীন বিভিন্নভাবে লাদাখের চার জায়গায় পিপলস লিবারেশন আর্মির জওয়ানরা অনুপ্রবেশ
চালায়। শুধু তাই নয় চীনের সেনারা প্রচুর পরিমাণে কামান আর আর্মড বাহন নিয়ে বাস্তবিক
নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশে জড় হয়ে যায়। তারপর গালওয়ান উপত্যকা আর প্যাংইয়াং লেকের দুটি
মুখ্য জায়গায় দুই দেশের সেনা সামনা-সামনি চলে আসে। উল্লেখ্য, মে মাসের শুরুতে চীনের
সেনা আক্রমণাত্বক রুপ ধারণ করা শুরু করে। লাদাখের চার জায়গায় পিপলস লিবারেশন আর্মির
জওয়ানরা অনুপ্রবেশ চালায়।
চীনের সেনা প্রচুর পরিমাণে কামান আর আর্মড বাহন নিয়ে বাস্তবিক নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশে জড় হয়। গালওয়ান উপত্যকা আর প্যাংইয়াং লেকের দুটি মুখ্য জায়গায় দুই দেশের সেনা সামনা-সামনি চলে আসে। তারপর ভারত- চীনের মধ্যে জারি উত্তেজনার মধ্যে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সোমবার রাতে চীন আর ভারতের সেনার মধ্যে খুনি সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষের জেরেই দুই পক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।দুই পক্ষের মধ্যে হওয়া এই খুনি সংঘর্ষে চীনের কমপক্ষে 43 জন জওয়ান নিকেশ হয়েছে। তবে বড়সড় ঝটকা খেয়েছে ভারতও। এই খুনি সংঘর্ষের জেরে ভারতের কমপক্ষে 20 জন জওয়ান শহীদ হয়েছে বলে খবর।