
সপ্তাহ
খানেক আগেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক অঞ্চল তছনছ করে দিয়েছে আমফান। এরই মধ্যে
ফের রাজ্যে শুরু হয়েছে ঝড়-বৃষ্টি। আর সেই ঝড়-বৃষ্টিতে রাজ্যে ফের মৃত্যু হল তিনজনের।
বুধবার সন্ধেয় ব্যাপক কালবৈশাখীর পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
উত্তর ও দক্ষিণ দুই বঙ্গেই বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
আলিপুর
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব
ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সঙ্গে হবে বজ্র বিদ্যুৎ
সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি।
এদিন
সকাল থেকে কলকাতায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়াতেও বৃষ্টি
হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মূলতঃ বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে এই বৃষ্টি। গতকাল বিকেলেও
কলকাতা সহ বেশ কয়েকটি জেলায় ঝড় হয়।
এদিন
হুগলিতে গাছ চাপা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম লালমোহন রায়গুপ্ত। গুরুতর
আহত হন ২ জন। এঁদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই এলাকায় বহু বাড়িতে টিন, অ্যাসবেস্টসের চাল উড়ে গিয়েছে। উপড়ে পড়েছে বড় বড় গাছ।
ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। দুর্গাপুরেও মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের।
উত্তর
২৪ পরগনার হাড়োয়ার মল্লিকপুরে ঝড়ে পাঁচিল চাপা পড়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর
আহত হয়েছেন ৫ জন। ঝড়ের দাপটে বাড়ির পাঁচিল ভেঙে আহত হন ৬ জন।
হাড়োয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে বছর চল্লিশের মোহর আলি মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ২ মহিলা সহ ৫ জন কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। বুধবার সন্ধেয় ৯৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড় কালবৈশাখী হয়। বহু জায়গায় গাছ পড়ে গিয়েছে।