করোনাভাইরাস
যেভাবে ছড়াচ্ছিল তাতে সারা দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় সরকার।
কিন্তু এই লকডাউন এর ফলে কার্যত থমকে গেছে সারাদেশ। এমনকি সমস্ত স্কুল-কলেজের পঠন-পাঠন
বন্ধ ছিল বেশ কয়েকদিন ধরে। তবুও কিছু কিছু জায়গায় অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা করেছিল
স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি কবে থেকে আবার খুলবে তার নিয়ে
বিভিন্ন মহলে উঠছে প্রশ্ন। এ ব্যাপারে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে কথা
হয় HRD মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়ালের।
HRD
মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল কে মধ্যপ্রদেশের সম্ভব জৈন প্রশ্ন করেছিলেন, লকডাউনের পর আবার
স্কুল-কলেজ কীভাবে খুলবে? এর উত্তরে তিনি জানান, যেদিন থেকে স্কুল খোলার নির্দেশ দেওয়া
হবে সেদিন থেকেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পঠন পাঠন চালাতে হবে সমস্ত স্কুল কলেজ গুলোকে।
এছাড়াও মোট পড়ুয়াদের 30% ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ক্লাস করাতে হবে। তিনি আরো জানিয়েছেন
যে শুধু ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন নয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও জীবন আমাদের কাছে অত্যন্ত দামী।
এরপর
তিনি আরও জানিয়েছেন, ইউজিসি টাক্সফোর্স ঠিক করবে কীভাবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পঠন-পাঠন
আবার চালু করা হবে। এ নিয়ে NCERT এর কাছে ইতিমধ্যে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে একটি গাইডলাইন
দেওয়া হয়েছে যাতে দেওয়া থাকবে কীভাবে পরবর্তীকালে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে
যাওয়া যায়। এরপরে মন্ত্রী আবার জানিয়েছেন, স্কুল-কলেজে যদি 40 জন পড়ুয়া কে নিয়ে
ক্লাস করানো হয় তাহলে কীভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন
খোদ নিজে। যদি এরপর তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ‘ সমস্ত সুবিধা অসুবিধা খতিয়ে দেখা
হচ্ছে।
স্কুল
কলেজ খুললে কীভাবে ক্লাস করানো হবে সেই বিষয়েও জানিয়ে দেওয়া হবে সমস্ত স্কুল-কলেজ
গুলিকে।’ টুইটারে লাইভ ভিডিও কলিং এর মাধ্যমে শিক্ষকদের সাথে HRD মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়ালের
টানা এক ঘন্টা ধরে আলোচনা হয়। সবশেষে সমস্ত শিক্ষকদের তিনি ধন্যবাদ জানান। এর পাশাপাশি
সিবিএসসি বোর্ড পরীক্ষার খাতা শিক্ষকরা ইতিমধ্যেই দেখতে শুরু করে দিয়েছে বলেও জানানো
হয়েছে। সবমিলিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের এ ধরনের সাহায্য পাওয়ার জন্য ধন্যবাদ
জানাতে ভোলেননি HDR মন্ত্রী।