ভারতীয়
সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম মোস্ট ওয়ান্টেড হিজবুল শীর্ষ নেতা রিয়াজ নাইকু। সন্ত্রাসবাদী
সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ নেতা রিয়াজ নাইকুকে আট বছর ধরে খুঁজছিল পুলিশ। মঙ্গলবার
রাত ১টা থেকে শুরু হয় অপারেশন। দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামার বেগপোরা গ্রামের
একটি বাড়িতে হিজবুলের চিফ কম্যান্ডার রিয়াজ নাইকুকে ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী। বুধবার
সকালে সেনা সূত্রে জানানো হয়, এক জঙ্গি নিকেশ হয়েছে। গোটা বাড়ি ঘিরে রেখেছে রাষ্ট্রীয়
রাইফেলস, সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ।
নাইকুর
মৃত্যুর পর কাশ্মীর উপত্যকায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে উপত্যকাবাসীর চলাফেরার উপরেও বিধিনিষেধ
আরোপ করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কাশ্মীরের
এই অবন্তীপুরাতেই বাড়ি রিয়াজের। অসুস্থ মাকে দেখতে মঙ্গলবার বেগপোরা গ্রামে
নিজের বাড়িতে আসে রিয়াজ। সঙ্গে ছিল আরও একদল জঙ্গি। অবন্তীপুরায় রিয়াজের আসার আগাম
খবর ছিল সেনার কাছে। সেইমতো গতকাল রাতেই অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। রাত থেকেই
শুরু হয় তুমুল গুলির লড়াই। সেখানেই প্রাণ হারায় নাইকু।
২০১৬-র
জুলাই মাসে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরে হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষস্থানে উঠে আসে নাইকুর
নাম। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, উপত্যকায় একাধিক জঙ্গি নাশকতায় রিয়াজের নাম
প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। একাধিক সেনা জওয়ান, পুলিশ কর্তার প্রাণ নিয়েছে সে। শেষবার
রিয়াজকে দেখা গিয়েছিল সারিখ আহমেদ বাটের শেষকৃত্যের সময়। সেইসময় তার সঙ্গে দেখা
গিয়েছিল আরও দুই হিজবুল কম্যান্ডার লতিফ আহমেদ ধর ও ইসফাক আহমেদ ধরকে। নাইকুর খোঁজ
দিলে ১২ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।