ফিরে
এল ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার স্মৃতি। বিশাখাপত্তনমে রাসায়নিক কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস দুর্ঘটনায়
অন্তত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আর শ’ খানেক মানুষ। গুরুতর অসুস্থ হয়ে
স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন বহু। বৃহস্পতিবার ভোরের এই ঘটনায় ব্যাপট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে
অন্ধ্রপ্রদেশের এই শহরে।
পুলিশ
সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষাক্ত গ্যাস লিক করায় অন্তত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক
অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন ২০ জন। বাকিদের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। অসুস্থদের মাথা
যন্ত্রণা, বমি ভাব ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা গিয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার
একাধিক হাসপাতালে আরও ১৫০ থেকে ১৭০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে
বলে আশঙ্কা। স্থানীয় হাসপাতালগুলি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অসুস্থদের চিকিৎসা করছে। অন্তত
১৫০০ থেকে ২০০০ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে হাসপাতালগুলিতে।
কীভাবে
হল এই দুর্ঘটনা? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশাখাপত্তনমের নায়ডু থোটা এলাকার আরআরভি
পুরমে অবস্থিত এলজি পলিমার সংস্থার রাসায়নিক কারখানায় বৃহস্পতিবার ভোরে হয় এই দুর্ঘটনা।
আচমকা বিষাক্ত গ্যাস লিক করে কারখানা থেকে। গ্যাস দুর্ঘটনার পরপরই এলাকা খালি করে দেয়
পুলিশ। গ্রেটার বিশাখাপত্তনম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে এলাকায় সতর্কতা জারি করা
হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে কীভাবে গ্যাস লিক হল তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। কারখানায় লকডাউনের
নিয়ম ভেঙে কাজ হচ্ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংস্থার নামে নোটিস জারি করা হয়েছে।