
২৪
ঘণ্টায় নদীয়া জেলায় নতুন করে ১৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও একথা জানানো হয়েছে। জেলায় করোনা আক্রান্ত বেড়ে হল ৬৫। এখনও জেলায়
বিভিন্ন রাজ্য থেকে বহু বাস ঢুকছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কেরল থেকে দু’টি শ্রমিক স্পেশাল
ট্রেন ঢোকে। ফলে সংক্রমণ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩জন আক্রান্তের মধ্যে রয়েছেন চাকদহের পাঁচজন,
শান্তিপুর ব্লকের দু’জন, শান্তিপুর পুরসভার একজন, রানাঘাট-১ ব্লকের তিনজন, কৃষ্ণনগর-১
এবং ২ ব্লকে আরও দু’জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এদের অধিকাংশই মহারাষ্ট্র,
তেলেঙ্গানা, গুজরাতের মতো বহু রাজ্য থেকে ফিরেছেন বলে জানা গিয়েছে। নতুন করে রানাঘাট
মহকুমা এলাকায় আরও ছ’জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। রানাঘাট-১ ব্লকে তিনজনের
মধ্যে আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীনাথপুরের একজন, বারাসত গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’জন
রয়েছেন। অন্যদিকে, শান্তিপুর শহরের একজন এবং শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের
মেলেরমাঠ ও বাগআঁছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রঘুনাথপুর এলাকায় আরও একজন করে আক্রান্ত হওয়ার
খবর পাওয়া গিয়েছে। সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের সবার বয়স ২৪-৩৫ বছরের মধ্যে। গত
২২মে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার রিপোর্ট আসে। বাড়ি ফিরে এঁরা সকলেই
হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। আক্রান্তদের সকলকে কল্যাণীর কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া
হয়েছে। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা
কয়েকজনের সোয়াব টেস্ট করা হবে। পাশাপাশি এলাকা চিহ্নিত করে কন্টেইনমেন্ট জোন তৈরি
করা হচ্ছে। কৃষ্ণনগর সদর ব্লকের সেনপুর এলাকায় এক যুবক করোনা আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে।
তিনি তেলেঙ্গানা থেকে এলাকায় ফিরেছিলেন। কৃষ্ণনগর-২ ব্লকে গুজরাত থেকে ফেরা এক মহিলাও
করোনা আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। তিনি ওই ব্লকের একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ছিলেন।
সকলকে কল্যাণীর কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চাকদহ ব্লকেরও পাঁচজন করোনা আক্রান্ত
বলে জানা গিয়েছে। চারজন চৌগাছা ও একজন দুবড়া গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় একটি স্কুলে
কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ছিলেন তাঁরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি, তামিলনাড়ু থেকে আসা
পরিযায়ী শ্রমিকদের এবার উপসর্গ না থাকলেও যতটা সম্ভব কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হবে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, নদীয়ায় করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো ছিল। পরিযায়ী
শ্রমিকরা ফেরার পর থেকেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাঁদের থেকে গোষ্ঠী সংক্রমণেরও
আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে যতটা সম্ভব কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাখার
ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রশাসন থেকে বার বার আবেদন জানানো হয়েছে, বহু লোক রাজ্য থেকে
জেলায় ফিরবেন। তাঁদের সামলানোর কাজে প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সহযোগিতা
করতে হবে।