বার্সেলোনায় নেইমারের ফিরে আসা খুবই স্বাভাবিক বলে জানালেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার মাজিনহো। তাঁর ধারণা, মেসির পরিবর্ত হিসাবে একমাত্র নেইমারকেই মানায়। রেডিও মার্কাতে নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ দেওয়া মাজিনহো বলেছেন, “যদি কাল দেখি নেইমার বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছে তাহলে আরও বেশি খুশি হব। মেসির পরিবর্ত হিসাবে যদি বার্সাকে দেখি, তাহলে নেইমার ছাড়া আর কে আছে? আর কাউকে সামনে দেখছি না।”
প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে, ২০১৭-১৮ মরশুমে বড় অর্থের ট্রান্সফার ফি দিয়ে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারকে নিয়েছিল পিএসজি। কিন্তু পরের মরশুম থেকেই রব ওঠে তিনি নাকি আবার ফিরছেন তাঁর পুরনো ক্লাব বার্সাতেই। গতবার তিনি পিএসজি’র হয়ে ২২ ম্যাচে ১৮ গোল করেছেন। তবে তাঁকে নিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই। অনেকেই মনে করছেন, তাঁর বার্সায় যোগ দেওয়া নাকি স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। এদিকে এমন কঠিন মুহূর্তে বার্সেলোনা থেকে ইস্তফা দিলেন বোর্ডের ছয় ডিরেক্টর।
নেইমারদের অর্থের ভাঁড়ারে বিশাল খাঁড়া নেমে আসছে। ফরাসি ফুটবল সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে, কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বেতন কাটা পড়বে নেইমারদের। বিশেষ করে মোটা অঙ্কের অর্থ যাঁরা উপার্জন করেন, তাঁদের উপর পড়বে কোপ। রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবলারদের ১০-২০ শতাংশ বেতন কেটে নেওয়া হচ্ছে।
বিশ্বজুড়েই খেলাধুলোর উপর বিশাল ধাক্কা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। কেউ জানে না, এই ধাক্কা কতটা কাটিয়ে উঠতে পারবে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। সব দেশেই ফুটবলারদের বেতনের উপর আঘাত হেনেছে সংশ্লিষ্ট দেশের ফেডারেশন। এবার সেই তালিকায় ঢুকে পড়ল ফ্রান্স। দেশের পেশাদার ফুটবল প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন বা ইউএনএফপি ও সরকারের অর্থমন্ত্রকের সঙ্গে এক বৈঠক হয়। সেই আলোচনায় ঠিক হয়েছে, যাঁরা বেশি অর্থ পান তাঁদের বেতন কাটার হার হবে সবচেয়ে বেশি। মাসে দশ হাজার ইউরো বেতনে যাঁরা খেলেন তাঁদের অর্থ কাটা হচ্ছে না। কিন্তু দশ থেকে ২০ হাজার ইউরো যাঁদের আয় তাঁদের কাটা হবে ২০ শতাংশ। ২০ থেকে ৫০ হাজার ইউরো বেতনভুক্তদের কেটে নেওয়া হবে ৩০ শতাংশ। ৫০ থেকে ১ লাখ ইউরো যাঁদের মাসিক বেতন তাঁদের থেকে নেওয়া হচ্ছে ৪০ শতাংশ। তার চেয়ে বেশি প্রাপকদের কাটা হচ্ছে ৫০ শতাংশ অর্থ।
একথা জানিয়ে ফরাসি পেশাদার ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট ফিলিপ পিয়াট জানিয়েছেন, “আমাদের সামনে আর কোনও পথ খোলা নেই। আমরা কাউকে জোর করে এই কাজে যোগ দিতে বলব না। তবে এটাও ঠিক, মনে হয় না কেউ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করবে। আমরা সকলকে অনুরোধ করব, নিজেদের চাকরি বাঁচাতে এই প্রস্তাবে তোমরা রাজি হও। যদি কেউ না করে তাহলে ফুটবলে বড় আঘাত নেমে আসতে বাধ্য।” আসলে টিভি রাইটস থেকে স্পনসর সকলে ফরাসি ফুটবল থেকে সরে গিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিল ফরাসি ফুটবল সংস্থা।