পঞ্চাশ পেরনোর পরেও যৌন জীবনের সুখ অনুভব করা যায়। এমনকী যৌবনের চেয়েও বেশি আনন্দদায়ক হয় বেশি বয়সের মিলন! শুনে চমকে উঠলেন তো? এমনই বলছেন বিজ্ঞানী ট্রেসি কক্স।
চমকে যাবেন না। আপনার বয়স হাফ সেঞ্চুরি করলে নিজেকে বুড়ো ভেবে বিছানায় গুটিয়ে নেবেন না। আর এই বয়সে যৌন চাহিদা থাকা কখনওই লজ্জার নয়। বরং এর সঙ্গে মিশে থাকে সঙ্গীর প্রতি অনেক বেশি মনোযোগ, আলতো ভালবাসা আর অনেকটা বিশ্বাস। মেনোপজ, যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া, লিবিডো কমে যাওয়ার মতো বিষয়গুলি জীবনের এই দ্বিতীয় ধাপে উদ্বেগ বাড়ায় অনেকের। যার জেরে কমে যায় রতিসুখের আত্মবিশ্বাসও। কিন্তু, ৩০ পেরনোর পর থেকেই যদি নিজের মানসিকতায় কিছু পরিবর্তন আনেন তাহলে বয়স ৫০ পেরিয়েও যৌনতার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। এমনই মত যৌন ও সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ট্রেসি কক্সের।
গবেষণায় উঠে এসেছে, বয়স্ক দম্পতিরা মিলনের পর কম বয়সিদের চেয়ে বেশি তৃপ্তি পান। কারণ, তাঁরা বেশ ধীরগতিতে যৌনক্রীড়ায় লিপ্ত হন। তবে এই সময়টায় আনন্দ পেতে চাইলে নিজের মানসিকতাকে তিরিশ বছরের পর থেকেই পরিবর্তন করতে হবে। যেমন, কখনওই নিজে মনে মনে ভাববেন না যে কম বয়সে যৌন জীবন দারুণ ছিল। বয়স বাড়ায় এখন আপানর সেই উদ্দামতা হারিয়ে যাচ্ছে। বসয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরেও পরিবর্তন হয়। জীবনেরও পরিবর্তন হয়। তাই শুধু মাত্র যৌন শক্তি আগের মতো পেতে নিজেকে কম বয়সি করার চেষ্টা করবেন না। নিজেকে বা পার্টনারকে আকর্ষনীয় দেখানোর চেষ্টা করবেন না। বীর্যপাতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিন মিলনের আগের ফোরপ্লের উপর। এভাবেই যৌনতাকে সবচেয়ে ভাল উপভোগ করা যায়।
বয়সের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মহিলারা এই সময় অনেকের মোটা হয়ে যাওয়া, মেনোপজ পরবর্তী শারীরিক বাধাকে জয় করতে চান না। তাঁরা ধরেই নেন যে যৌন জীবন উপভোগ করার বয়স তাঁদের ফুরিয়েছে। ট্রেসির দাবি, এই সময়টায় যৌন জীবন সক্রিয় থাকলে পার্টনারদের বডি ইমেজও আগের থেকে ভাল হয়ে যায়। যৌনতৃপ্তি থেকে তাঁরা নিজের শরীরের গঠনের প্রতি নজর রাখতে শুরু করেন। আবার শরীরও আগের চেয়ে অনেক বেশি ফিট হয়ে গেলে তার থেকে যৌনতার ইচ্ছাও জাগে। যৌনতা নিয়ে মানসিকতা বদলানোর পাশাপাশি রোজ এক্সারসাইজ করতে হবে। এতে শরীর সচল যেমন থাকবে তেমনই রক্ত সংবহন ভাল করবে। শরীরে রক্ত সংবহন ভাল হলে যৌনাঙ্গগুলিও সবল ও সক্রিয় থাকে। এছাড়া যে কোনও প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে কুণ্ঠা না করার জন্য নিজের সদ্য প্রকাশিত বইয়ে পরামর্শ দিয়েছেন এই গবেষক-বিশেষজ্ঞ।