মহামারী এর আগে আমরা কেউই দেখিনি। সকলেরই এই প্রথম অভিজ্ঞতা। কেউ অবাক হচ্ছেন। কেউ বিস্মিত। কেউ আবার বিরক্তও হচ্ছেন। এই সবকিছুর মধ্যে নিজেকে ঠিক ভাবে চালানো করাটাই কঠিন। অবসাদ ঘিরে ধরতে পারে। দম বন্ধ লাগতে পারে। আগামীর চিন্তা হতে পারে। তবে সবকিছুর মাঝে মনটাকে ইতিবাচক রাখতে হবে। যেমন রাখেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।
জীবনের নানা চড়াই-উতরাই দেখেছেন তিনি। ভেঙেছেন-গড়েছেন, সমালোচনা শুনেছেন। তবুও ভেঙে পড়েননি। জীবনে এগিয়ে গিয়েছেন থামেননি। লকডাউনেও হাসি মুখে দিন কাটাচ্ছেন শ্রাবন্তী। কখনো মজাদার টিকটক ভিডিও বানাচ্ছেন, কখনো আবার কোমড় বেঁধে নায়িকা হেঁশেল সামলাচ্ছেন। এবার নিউজ 18 বাংলার সঙ্গে নিজের বাড়ির সবচেয়ে জনপ্রিয় রেসিপি শেয়ার করলেন শ্রাবন্তী।
বাঙালি বাড়ির রবিবার দুপুরের ভোজ পাঁঠার মাংস ছাড়া সম্পন্ন হয় না। এখন যদিও অনেকের বাড়িতেই সেই প্রথা উঠে গিয়েছে। রোগ, স্বাস্থ্য সচেতনতা এসবের জন্য প্রতি সপ্তাহে পাত পেড়ে মাটন খাওয়া আর হয় না। তবে শ্রাবন্তির বাড়ির রান্নাঘরে প্রায়ই এই পদ বানানো হয়। লকডাউনের মধ্যেও মাস্ক পড়ে বাজারের থলে হাতে নিয়ে রোশান কিনে আনছেন পাঁঠার মাংস। শ্রাবন্তী জমিয়ে রান্না করছে সেটা। খাবার টেবিলে বেশ প্রশংসাও কুড়ছেন তিনি। বড় আলুর টুকরো দিয়ে পাতলা পাঁঠার ঝোলের সঙ্গে আমাদের পরিচয় আছে সকলেরই। তবে শ্রাবন্তী কেমন ভাবে সেটা বানান, তা জেনে নেওয়া যাক।
উপকরণ: পাঁঠার মাংস, আলুর বড় টুকরো, গোটা জিরে, গোটা গরম মশলা (এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ)তেজপাতা, পেঁয়াজ কুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ গুড়ো, লঙ্কা গুড়ো, নুন, টক দই সরষের তেল, গরম জল
প্রণা়লী: পাঁঠার মাংসটাকে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। তাতে দই মাখিয়ে রেখে দিন বেশ কিছুক্ষণ। সময় থাকলে সারারাতও রাখতে পারেন। আলুর টুকরোগুলো সরষের তেলে ভেজে রাখুন। এবার কড়াইয়ে পরিমাণ মতো সরষের তেল দিন। তেল গরম হলে, গোটা জিরে গোটা গরম মশলা ও তেজপাতা ফোড়ন দিন। ফোড়ন লাল হলে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজটাকে ভালো করে ভাজা ভাজা করে নিন। তারপর একে একে আদা বাটা, রসুন বাটা, দিয়ে দিন। এই রান্নার একটাই সিক্রেট, সেটা হল, প্রত্যেকটা জিনিস ভালো করে কষাতে হবে। না হলে স্বাদ আসবে না। তারপর হলুদ গুঁড়ো, লাল লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে আবার কিছুক্ষণ কষান। মশলা ভাজা ভাজা হলে তাতে দই মাখানো মাংস দিয়ে দিন। এবার সমস্ত মশলার সঙ্গে মাংসটাকে ভাল করে কষান। মশলা থেকে তেল ছেড়ে দিলে বুঝবেন কষানো হয়ে গিয়েছে। এবার আগে থেকে ভেজে রাখা আলু দিয়ে দিন। যতটা ঝোল চান সেই পরিমাণে গরম জল ঢেলে দিন। স্বাদ মতো নুন দিন। এবার গোটা রান্নাটা প্রেসার কুকারে নিয়ে আসুন। ঢাকনা বন্ধ করে ৩-৪টে সিটি দিয়ে নিন। মটনের পাতলা ঝোল রেডি।