করোনাভাইরাসের আক্রমনে পুরো দেশ শঙ্কিত। ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারী বেসরকারি সব অফিস ছুটি ঘোষণা করা হয়।
এই ছুটি আরও বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেক্ষেত্রে ৯ই এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হবে।
মঙ্গলবার গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ৬৪ জেলা প্রশাসকের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন। সেসময় তিনি একথা জানান।
তিনি আরো জানান, ‘পরিস্থিতির কথা ভেবে ছুটি একটু বাড়ানো উচিত। আমরা ১২ দিনের ছুটি দিয়েছিলাম। তা বাড়িয়ে ১৪ দিন হতে পারে।’
কোয়ারেন্টাইনের সময় কত তারিখ পর্যন্ত হবে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। তখন পাশে থেকে কোনো কর্মকর্তা বলেন ৯ এপ্রিল পর্যন্ত।
তখন প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘৯ তারিখ পর্যন্ত…এই ছুটিটা সীমিত আকারে বাড়ানো উচিত। সেটা বাড়িয়ে আমাদের সীমিত আকারে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখারা জন্য সেখানে আমরা চিন্তা-ভাবনা করে বলব কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা সেটা ছাড় দেব।’
করোনাভাইরাসের মোকাবিলা করতে গত ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব,
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
তার আগে তিনি সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রী ১০ দিন ছুটি নেন। এবং দশটি সিদ্ধান্ত দেন।
ওইদিনই বিকেলে সচিবালয়ের এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর এসব সিদ্ধান্ত সবাইকে জানিয়ে দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগামী ২৬ মার্চের সরকারি ছুটি এবং ২৭ থেকে ২৮ মার্চের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
৩ ও ৪ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন এই বন্ধের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবার জন্য এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না।
এখন ছুটি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হলে এরপর ১০ ও ১১ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি, সেক্ষেত্রে অফিস খুলতে ১২ এপ্রিল লেগে যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সোমবারের (৩০ মার্চ) তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছে ৪৯ জন।মৃত্যুবরণ করেছে ৫ জন।